আইন ও অপরাধ

কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

করোনার মতো দুর্যোগে দুদকের কর্মকর্তার মিথ্যা পরিচয় দিয়ে সরকারি ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একাধিক প্রতারক চক্র।

দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া সেই সব প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৯ মে) কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে এ জাতীয় প্রতারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারী কিংবা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কিংবা তাদের আত্মীয়-স্বজন পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ জাতীয় প্রতারক বা প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে।  কমিশন থেকে বার বার আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সর্বসাধারণকে অনুধাবন করতে হবে, কমিশনের বিবেচনাধীন কোনো অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তের বিষয়ে দুদক কর্মকর্তাদের টেলিফোন করার কোনো সুযোগ নেই।  এছাড়া যেসব প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে আইনি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করেও দেখা গেছে, এসব ঘটনায় দুদকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্পৃক্ত নয়।

দুদক জানায়, দুদকের বিবেচনাধীন বা অনুসন্ধানাধীন বা তদন্তাধীন কোনো অভিযোগ থেকে কমিশনের কোনো কর্মকর্তার একক অভিপ্রায় অনুযায়ী অব্যাহতি দেওয়া কিংবা অভিযুক্ত করারও কোনো সুযোগ নেই।  কমিশনের অনুসন্ধান বা তদন্ত এমন একটি প্রক্রিয়া, যা তদন্তকারী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কমিশনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ সম্পৃক্ত।  কমিশন আইন-অনুযায়ী কমিশনের সব সিদ্ধান্ত কমিশন থেকে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।  তাই এ জাতীয় প্রতারকদের টেলিফোনে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।

প্রয়োজনে দুদকের পরচিালক (গোয়েন্দা) মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী (মোবাইল নং ০১৭১১-৬৪৪৬৭৫) অথবা দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্যকে (মোবাইল নং ০১৭১৬-৪৬৩২৭৬) অভিযোগ জানাবেন। ঢাকা/এম এ রহমান/জেডআর