আইন ও অপরাধ

ভার্চুয়াল অপরাধীদের ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে জানাবে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের প্রায় ৫০ জন প্রসিকিউটর, তদন্তকারী, বিচারক, আর্থিক বিশ্লেষক, এবং সরকারি কর্মকর্তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি অনলাইন প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে জানবেন কীভাবে অপরাধী সংস্থাগুলো ডার্ক ওয়েব ও ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাদক পাচার, অর্থপাচার এবং অন্যান্য ভয়ঙ্কর বেআইনি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে।

সোমবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এবং দেশটির বিচার বিভাগের ওভারসিজ প্রসিকিউটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট, অ্যাসিস্টেন্স অ্যান্ড ট্রেনিং (OPDAT) ‘ক্রিমিনাল ইনফ্লুয়েন্স অন দি ডার্ক ওয়েব অ্যান্ড ইন দি ইউজ অফ ক্রিপ্টোকারেন্সি’ শীর্ষক তিন পর্বের একটি ওয়েবিনার সিরিজ উদ্বোধন করেছে।

কোর্সের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ডার্ক ওয়েব ও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ক ইন্টারন্যাশনাল কমপিউটার হ্যাকিং অ্যান্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাটর্নি জন ঘোষ।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার ওয়েবিনার সিরিজের উদ্বোধন করে অংশগ্রহণকারীসহ কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সাহসিকতার সাথে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের প্রশংসা করেন। 

তিনি বলেন, তাদের জন্য আমার শ্রদ্ধা, প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা, কারণ তারা খুব কঠিন ও বিপজ্জনক কাজ খুব ভালোভাবে করছে। রাষ্ট্রদূত মিলার সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের কাজের প্রশংসা করে আরো বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কার্যক্রম জোরদার করেছে। অর্থপাচার রোধে শক্তিশালী ও কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।  দেশজুড়ে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ট্রাইব্যুনাল পরিচালনা করছে এবং কম্পিউটার ও ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সংঘটিত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তদন্ত ও বিচারে ডিজিটাল প্রমাণাদির ব্যবহার বাড়িয়েছে।  তিনি বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

 

হাসান/সাইফ