আইন ও অপরাধ

গণপূর্তের প্রকৌশলী উৎপল ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন

প্রায় ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ক্যাসিনোকাণ্ড ও জি কে শামীম সংশ্লিষ্টতায় অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়।  

শিগগিরই সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী মামলাটি দায়ের করবেন বলে রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন পরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।

তিনি বলেন, ক্যাসিনোকাণ্ডে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় কমিশন থেকে আজ এই মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়।   ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী গ্রেপ্তার হন। এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।  শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২০টি মামলা দায়ের করে দুদক।  প্রায় ২০০ জনের তালিকা নিয়ে চলছে দুদকের অনুসন্ধান।

এখন পর্যন্ত যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন- ঠিকাদার জি কে শামীম, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়া, কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমা, কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমান, ব্যবসায়ী মো. সাহেদুল হক এবং গণপূর্তের সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. মুমিতুর রহমান ও তার স্ত্রী জেসমীন পারভীন।

অনুসন্ধানকারী টিমের অপর সদস্যরা হলেন, উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।