আইন ও অপরাধ

মানবতাবিরোধী অপরাধ: পলাতক ৪ আসামির তদন্ত চূড়ান্ত

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট থানার চার আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। 

পলাতক এসব আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা ও গণহত্যার ঘটনায় মোট তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বুধবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো. আবদুল হান্নান খান ওই প্রতিবেদনের কথা জানান। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় সংস্থাটি তাদের নাম ও ছবি প্রকাশ করেনি।  পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দেওয়া হবে।  আর এটি ছিল ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ৭৮তম তদন্ত প্রতিবেদন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর তদন্ত শুরু হয়ে ১২ আগস্ট শেষ হয়।  এসময় ৭০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ২৮ জনকে সাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করা হয়।  তাদের বিরুদ্ধে ১২ ধরনের তথ্য-উপাত্ত (১১৪ পাতার) সংগ্রহসহ চারটি ভলিউমে ২২২ পাতার তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়।  এ তদন্ত কাজ পরিচালনা করেন সংস্থাটির তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান কবীর।

আরও বলা হয়, ওই চার আসামির মধ্যে একজন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নোয়াখালী জেলা ছাত্র সংঘের নেতৃত্বে ছিলেন। অপর তিন আসামি থানা ছাত্র সংঘের নেতা হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন।  পরে বিভিন্ন সময়ে তিন জন আসামি জামায়াতে ইসলামের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।  আর এক আসামি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।