আইন ও অপরাধ

ভুয়া দুদক কমিশনারসহ দুজন রিমান্ডে

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম হিসেবে পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মো. মোছাব্বির হোসেনসহ দুই ব‌্যক্তির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মিয়া শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে নেওয়া অপর ব‌্যক্তি হলেন মো. নজরুল ইসলাম নাঈম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ মাতুব্বর দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় অগ্রণী ব্যাংকের রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ শাখা থেকে দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বাধীন একটি দল ওই দুই ব‌্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

দুদক জানায়, একাধিক ব্যক্তি দুদকের মনোগ্রাম সংবলিত প্যাড এবং একজন দুদক কমিশনারের নাম, স্বাক্ষর ও পদবি ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দুদকের ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপনের জন‌্য অর্থ দাবি করছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়। তাদের ধরতে দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দুদকের কর্মকর্তারা অগ্রণী ব‌্যাংকের বঙ্গবন্ধু অ‌্যাভিনিউ শাখার আশপাশে অবস্থান নেন। মো. মোছাব্বির হোসেন ব্যাংকে আসলেই দুদক টিম তাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে আটক করে। দুদক নিশ্চিত হয়, দুদকের হাতে ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারক মো. নজরুল ইসলাম নাঈমের দলের সদস্য মোছাব্বির হোসেন। এর আগে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল একই ধরনের অপরাধে মো. নজরুল ইসলাম নাঈমের বিরুদ্ধে রামপুরা থানা মামলা করা হয়েছিল। তাকে গ্রেপ্তারও করেছিল দুদক। মামলাটি এখনো বিচারাধীন।

বৃহস্পতিবারের ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক এ কে এম মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে মো. নজরুল ইসলাম নাঈম ও মো. মোছাব্বিরের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা করেছে।