আইন ও অপরাধ

শিক্ষা সনদ জালিয়াতি: আয়কর কর্মচারীর কারাদণ্ড

শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে পদোন্নতি পাওয়ার মামলায় ঢাকার কর অঞ্চল-১৪ এর উচ্চমান সহকারী মো. নুরুল আমিন পাঠানকে ৬ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় ৩ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় সমপরিমাণ দণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।

নুরুল আমিন গাজীপুরের হায়দারাবাদ গ্রামের মৃত আস্কর আলীর ছেলে।

নুরুল আমিন ১৯৮১ সালের ১ এপ্রিল এমএলএসএস পদে যোগ দেন। কর বিভাগের নিয়োগবিধি অনুযায়ী, এমএলএসএস পদ থেকে নিম্নমান সহকারী পদে পদোন্নতির জন্য নূন্যতম এসএসসি পাস হতে হয়। আসামি নিম্নমান সহকারী পদে পদোন্নতির জন্য এসএসসি পাসের একটি সনদ দাখিল করেন। এর ওপর ভিত্তি করে তাকে ১৯৯২ সালের ৪ আগস্ট বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি তাকে নিম্নমান সহকারী পদে পদোন্নতি দেয়। পরবর্তীতে তিনি উচ্চমান সহকারী পদেও পদোন্নতি পান। দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এ সনদ যাচাইয়ের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পাঠায়। ওই বছরের ৩ অক্টোবর বোর্ড জানায় যে, দাখিলকৃত সনদটি ভুয়া। এ অভিযোগে ২০১২ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক ফজলুল বারী রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। 

তদন্ত শেষে একই কর্মকর্তা ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে ২০১৭ সালের ২৯ মে আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলার বিচারকালে আদালত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।