আইন ও অপরাধ

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশির মৃত্যু: হাজি কামালকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় মানবপাচার চক্রের হোতা কামাল হোসেন ওরফে হাজি কামালের দুই মামলায় জামিন আবেদনে সাড়া দেননি হাইকোর্ট।

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।  আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশী ২৬ বাংলাদেশি ও কিছু সুদানি মানবপাচারকারীদের হাতে হত্যার শিকার  হন। এখানে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্নভাবে, প্রথমে খিলগাঁও এর নন্দীপাড়ার গোলারবাড়ী মসজিদ গলির দুলাল সাহেবের বাড়ির ষষ্ঠ তলায় আসামি কামাল হোসেন ভাড়া থাকতো। এখানে লোকজনকে জড়ো করতো। তাদেরকে ইন্ডিয়া হয়ে দুবাই, মিশর থেকে পরবর্তী পর‌্যায়ে লিবিয়াতে পাঠানো হতো।  এরপর ইউরোপ ও ইতালি পাঠানোর লোভ দেখাতো।  এ পাঠানোর নাম করে তাদের আটকিয়ে নির্যাতন করতো।  ভিডিও ধারণ করে আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে আট-দশ লাখ টাকা আদায় করতো।  এরকম অত্যাচারে শিকার হয়ে মধ্যে কয়েকজন সুদানি লিবিয়ার যে মাফিয়া চক্র তাদের একজনকে তাদের হত্যা করেন। এরপর লিবিয়ার মাফিয়া চক্র এসে সুদানিসহ বাংলাদেশিদের হত্যা করে। পরে ঢাকায় মামলা হয়। ১ জুন ভোরে র‌্যাব-৩-এর একটি দল গুলশান থানাধীন শাহজাদপুরের বরইতলা বাজার খিলবাড়ীরটেক এলাকা থেকে হাজী কামালকে আটক করে।

গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশী ২৬ বাংলাদেশি মানবপাচারকারীদের হাতে নিহত হন।