বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে সীমান্ত সম্মেলন বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে।
ওইদনি সকাল পৌনে ১১টায় পিলখানা সদর দপ্তরে ৪ দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হবে। এবারের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা বন্ধ প্রধান আলোচ্য বিষয় বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী প্রতিনিধিদল আজ বাংলাদেশের এসে পৌঁছাবেন। আজ অনানুষ্ঠানিক কিছু আলাপ আলোচনা হলেও মূল বৈঠক শুরু হবে বৃহস্পতিবার। সে জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আশা করছি, আগামীকাল যথা সময়ে বৈঠকটি শুরু করতে পারবো।
জানা গেছে, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এম শাফিনুল ইসলাম এবং ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে (বিএসএফ) সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান রকেশ আস্থানা দুইপক্ষের আলোচনার নেতৃত্ব দেবেন। এবারের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার বিষয়টি বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে দু-দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তারপরও থেমে নেই এ হত্যা। এছাড়া সীমান্তে মাদক চোরাচালান রোধ, কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ, অস্ত্র-মাদক পাচারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এবার আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে বিজিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজিবি এবং বিএসএফ’র মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন (১৬-১৯ সেপ্টেম্বর) হবে। তবে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ১৭ সেপ্টেম্বর বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শুরু হবে। সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক ছাড়াও অতিরিক্ত মহাপরিচালকরা ও বিজিবি সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করবেন। আর ভারতের ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল (JRD-Joint Record of Discussions) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষে বিএসএফ প্রতিনিধিদলের ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।