আইন ও অপরাধ

স্বাস্থ্যের কালো তালিকাভুক্ত ৩ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা

প্রায় সাত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কালো তালিকাভুক্ত ৩ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় দুর্নীতি-অনিয়মে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ১৪ ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন এ তিন ঠিকাদার।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যের ঠিকাদার ও মেসার্স এম এইচ ফার্মার মালিক মো. মোসাদ্দেক হোসেনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৭৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে এক কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার ২৩৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের কথা বলা হয়েছে।  

অবৈধ সম্পদের মধ্যে রংপুর সদর উপজেলাধীন বিভিন্ন মৌজার জমি, বাড়ি, ঢাকায় ২টি ফ্ল্যাট ক্রয়, পুকুর, ডোবা ক্রয় ও ভবনের তথ্য রয়েছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় মেসার্স অভি ড্রাগসের মালিক মো. জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৫১ হাজার ২৭২ টাকার অবৈধ সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

অনুসন্ধানে রেকর্ডপত্র, আয়কর নথি ও তথ্যাদি পর্যালোচনায় জয়নাল আবেদীনের ১ কোটি ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও এক কোটি ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯১ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।  

অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে রংপুর সদর উপজেলাধীন বিভিন্ন মৌজার জমি, বাড়ি, পুকুর ও ডোবা ক্রয়।

এছাড়া মেসার্স আলবিরা ফার্মেসির মালিক মো. আলমগীর হোসেন দুদকের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯৫ লাখ ৫০ হাজার ৮৫৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এর বাইরে দুদকের অনুসন্ধানে ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৮৭৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।  অর্থ্যাৎ মোট এক কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার ৭৩২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জনের দায়ে আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে রংপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন মৌজার জমি, বাড়ি, ঢাকায় ফ্ল্যাট ক্রয়, পুকুর, ডোবা ক্রয়, গাড়ি ক্রয় ও ভবন নির্মাণের তথ্য। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা তিনটি দায়ের করা হয়েছে।