রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর সামিনা লুৎফা ও ভিকটিমের দুই বান্ধবী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহারের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর মজনুর পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি তাদের জেরা করেন। জেরা শেষে আদালত বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় মজনুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এনিয়ে মামলাটিতে ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
গত ৫ জানুয়ারি কুর্মিটোলায় ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। ওই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
পরে ৮ জানুয়ারি শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ঘটনায় অভিযুক্ত মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ৯ জানুয়ারি আদালত মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১৬ জানুয়ারি মজনু দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এখন তিনি কারাগারে।
এর মধ্যে গত ১৬ মার্চ মজনুকে একমাত্র আসামি করে ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক। ওই দিনই আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। গত ১৬ আগস্ট একই আদালত মজনুর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন। ২৬ আগস্ট মজনুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।