রাজধানীর গুলশানে হিজামা থেরাপি সেন্টার অ্যান্ড বডি ম্যাসেজের অভিযানে গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও ম্যানেজারের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অভিযানে গ্রেপ্তার অপর ৮ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- হিজামা থেরাপি সেন্টার অ্যান্ড বডি ম্যাসেজের মালিক রাজিয়া খাতুন ওরফে ফারিয়া এবং ম্যানেজার ইমরান খান।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- মো. আল আমিন, রাকিবুল হাসান, আল আমিন, মুহিদ আলী মিঠু, হোসনে আরা খাতুন, লিলি, গীতি দেউরী ও জয়া চাম্বু।
এর আগে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান এই ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল আলম ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় ফারিয়া ও ইমরানের ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন এবং অপর ৮ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনে বলা হয়, গুলশান থানাধীন নাভানা টাওয়ারে হিজামা থেরাপি সেন্টার অ্যান্ড বডি ম্যাসেজ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সের যুবতী ও মহিলাদের একত্রিত করে অবৈধ দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে যৌন শোষণ ও নিপীড়নমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করা হয়।
মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, তাদের সঙ্গে অপরাপর কেউ জড়িত আছে কিনা, তা যাচাই বাছাইয়ের জন্য ফারিয়া ও ইমরানের রিমান্ড আবেদন এবং অপর ৮ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
দুই আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপর ৮ আসামিরও জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।