আইন ও অপরাধ

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার: ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

পাওনা টাকা উদ্ধারে বিচার চাইতে গিয়ে আশুলিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২০ বছর বয়সী এক তরুণী।

এ ঘটনায় রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে চেয়ারম্যানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই তরুণী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর (৫০), শ্যালক মো. আলমগীর (৩৮) এবং চেয়ারম্যানের পিএস সবুজ সিকদার (৩৫)।

জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী আশুলিয়া বাজারে সালাউদ্দিন আহম্মেদ শাওন নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ৫ লাখ টাকা পান। দীর্ঘদিনেও ওই ব্যক্তি তাকে টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। এ বিষয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর বিচার চাইতে এক আত্মীয়কে নিয়ে ওই তরুণী চেয়ারম্যান পরিষদে চেয়ারম্যানের কাছে যান।  তাকে সেখানে না পেয়ে তারা চেয়ারম্যানের বাড়িতে যান। চেয়ারম্যান তাকে পাওনা টাকা ফেরত পেতে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে তারা চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু আলমগীর ও সবুজ সিকদার তাদের পথরোধ করেন। 

আসামিরা বলেন, তোমাদের আগমন সন্দেহমূলক। তোমরা চেয়ারম্যানের ক্ষতি করার জন্য এখানে এসেছো। কি কারণে এখানে এসেছো না বললে তোমাদের পিঠের চামড়া তুলে নেবো।  

ওই তরুণী তাদের জানান, পাওনা টাকার বিচার দিতে চেয়ারম্যানের কাছে এসেছি। আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে আসামিরা মারধর করতে থাকেন। পরে আসামিরা তাদের ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। তাদের দুই জনকে দুই রুমে আটকে রাখেন। দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর ওই তরুণীর রুমে ঢুকে তাকে মারধর করেন এবং পুলিশে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালান। শাহাবুদ্দিন মাদবর রুম থেকে বের হওয়ার পর আলমগীর ও সবুজ রুমে প্রবেশ করে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তারা ওই তরুণীর ওপর যৌন নির্যাতন চালান। বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকিও দেন আসামিরা।