আইন ও অপরাধ

মডেল বানানোর কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

কিশোরীদের অভিনয়ের ফাঁদে ফেলে মডেল বানানোর কথা বলে বাসায় এনে ধর্ষণের অভিযোগে হৃদয় নামে এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানা পুলিশ। ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

পুলিশ জানায়, ঘটনার শিকার একজন থানায় অভিযোগ দেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, হৃদয় গত ১২ সেপ্টেম্বর বন্ধুদের নিয়ে গাজীপুরের একটি রিসোর্টে পার্টির আয়োজন করে। সেখানে পরিচয়ের সূত্রে দুই কলেজ শিক্ষার্থী মডেল হওয়ার আগ্রহ দেখায়। এর দু’দিন পর হৃদয়ের এক বান্ধবীর মাধ্যমে তারা কুড়িলে হৃদয়ের বাসায় আসে। টিকটকের শুটিং শুরু হওয়ার কথা বলে তাদের ওই বাসার নিচতলার একটি কক্ষে থাকতে দেওয়া হয়। এরপর ওই ছাত্রীদের ওপর পাশবিকতা চালায় হৃদয়।

অন্যদিকে, ফেসবুকে ‘টিকটক ও লাইকিতে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে’- এমন বিজ্ঞাপন দেখে গত ২০ সেপ্টেম্বর আরও দুই শিক্ষার্থী ওই অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদেরও শুটিংয়ের কথা বলে সে নিজের বাসায় থাকতে দেন। পরদিন সকালে তাদের মধ্যে একজনকে বাসার তৃতীয় তলায় নিয়ে পাশবিকতা চালানো হয়। ওই রাতেই আরেক শিক্ষার্থীর ওপর চলে পাশবিকতা। এভাবে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার শিক্ষার্থীকে নিজের বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে হৃদয়।

ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনার শিকার চার ছাত্রীর একজন থানায় অভিযোগ দিয়েছিল। এরপর পুলিশ ঘটনা তদন্ত করতে গেলে জানতে পারে একজন নয়, সে একে একে চারজনকে ধর্ষণ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কুড়িলের বাড়িটি হৃদয়ের নিজের। পরিচয় গোপন করে মেয়েদের বাড়ির নিচতলায় ভাড়াটে হিসেবে রাখতো। সেখানে ঘটনার শিকার চারজনসহ আরও এক তরুণীকে পাওয়া গেছে। তবে ওই তরুণী তার প্রতি কোনো পাশবিকতা হয়নি বলে দাবি করেছেন। অবশ্য একজনের অভিযোগ তদন্তে গেলে আরও তিনজন হৃদয়ের পাশবিকতার বিবরণ দিয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয়ও তার অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে।’