আইন ও অপরাধ

মডেল বানানোর কথা বলে ধর্ষণ: হৃদয়ের দোষ স্বীকার

মডেল বানানোর কথা বলে ধর্ষণের মামলায় আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে রেদওয়ান রসুল হৃদয়।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই হাফিজুর রহমান আসামিকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে রেদওয়ান রসুল হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, হৃদয় গত ১২ সেপ্টেম্বর বন্ধুদের নিয়ে গাজীপুরের একটি রিসোর্টে পার্টির আয়োজন করে হৃদয়। সেখানে পরিচয়ের সূত্র ধরে দুই কলেজ শিক্ষার্থী মডেল হওয়ার আগ্রহ দেখায়। এর দুই দিন পর হৃদয়ের এক বান্ধবীর মাধ্যমে তারা রাজধানীর কুড়িলে হৃদয়ের বাসায় আসে। টিকটকের শুটিংয়ের কথা বলে তাদের ওই বাসার নিচতলার একটি কক্ষে থাকতে দেওয়া হয়। পরে ওই ছাত্রীদের ধর্ষণ করে হৃদয়।

অন্যদিকে, ‘টিকটক ও লাইকিতে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে’ ফেসবুকে এমন বিজ্ঞাপন দেখে গত ২০ সেপ্টেম্বর আরও দুই শিক্ষার্থী হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শুটিংয়ের কথা বলে তাদেরও নিজের বাসায় থাকতে দেয় হৃদয়। পরদিন সকালে তাদের একজনকে বাসার তৃতীয় তলায় নিয়ে ধর্ষণ করে সে। ওই রাতেই আরেক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে হৃদয়। এভাবে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার শিক্ষার্থীকে নিজের বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে সে।