আইন ও অপরাধ

তথ্য গোপন করে ৭ আসামির জামিন: প্রত্যাহার চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন

খুলনার তেরখাদার জোড়া খুন মামলার সাত আসামি তথ্য গোপন করে জামিন নেওয়ায় তাদের জামিন আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

তথ্য গোপন করে জামিন পাওয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের নজরে এনে জামিন আদেশ রিকলের (প্রত্যাহার) আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এম. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত  হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন।

মামলার তিন আসামির দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থাকলেও তা জামিন আবেদনে গোপন করা হয়েছে। মামলার এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেই হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন আসামিরা। পরে এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থাকার পরেও এ তথ্য গোপন করে জামিন নেওয়ার বিষয়টি নজরে আসায় আসামিদের জামিন বাতিলের পাশাপাশি গ্রেপ্তারের জন্য আদালতের নির্দেশনা চেয়েছি। একইসঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।

গত বছরের ৭ আগস্ট খুলনার তেরখাদায় পূর্ব শত্রুতার জেরে নাঈম শেখ (২৭) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় আহত হন নিহত নাঈম শেখের বাবা হিরু শেখ (৫৫)। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। 

ঘটনার পরদিন তেরখাদা থানায় ১৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরইমধ্যে ওই মামলায় তেরখাদার ইউপি চেয়ারম্যান এম দীন ইসলামসহ ১৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। 

মামলার তিন আসামি শেখ সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রহমান ও খালিদ শেখ ওই বছরের আগস্ট মাসে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর খুলনার জেলা ও দায়রা জজ এই মামলার আসামিদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। পরে তারা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে জামিন চান। ওই জামিন আবেদনে তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার তথ্য গোপন রাখা হয়। 

আসামিদের পক্ষে মামলাটি শুনানি করেন আইনজীবী এমএ শহীদ চৌধুরী। শুনানি শেষে হাইকোর্ট তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান। এই সাত আসামি হলেন- শেখ সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, খালিদ শেখ, ইস্কান্দার শেখ, জমির শেখ, জিয়ারুল শেখ ও আব্বাস শেখ।