আইন ও অপরাধ

তথ্য গোপন: ৭ আসামির জামিন বাতিল, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

খুলনার তেরখাদায় জোড়া খুনের মামলার সাত আসামি তথ্য গোপন করে জামিন নেওয়ায় তাদের জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। তাদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

রোববার (৪ অক্টোবর) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এম আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

সাত আসামি তথ্য গোপন করে জামিন নেওয়ায় গত ১ অক্টোবর তাদের জামিন আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

মামলার তিন আসামি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেও তা জামিন আবেদনে গোপন করা হয়েছে। মামলার এ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেই হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন সাত আসামি।

এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, ‘আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থাকার পরও এই তথ্য গোপন করে জামিন নেওয়ার বিষয়টি নজরে আসায় তাদের জামিন বাতিলের পাশাপাশি গ্রেপ্তারের জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।‘

গত বছরের ৭ আগস্ট খুলনার তেরখাদায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে নাঈম শেখ (২৭) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় আহত হন তার বাবা হিরু শেখ (৫৫)। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পরদিন তেরখাদা থানায় ১৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ইতোমধ্যে ওই মামলায় তেরখাদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম দীন ইসলামসহ ১৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। এই মামলার তিন আসামি শেখ সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রহমান ও খালিদ শেখ ওই বছরের আগস্ট মাসে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর খুলনার জেলা ও দায়রা জজ এই মামলার আসামিদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। পরে তারা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে জামিন চান। ওই জামিন আবেদনে তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার তথ্য গোপন রাখা হয়।

আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এমএ শহীদ চৌধুরী। শুনানি শেষে হাইকোর্ট তাদের জামিন মঞ্জুর করে। পরে কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান। এই সাত আসামি হলেন—শেখ সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, খালিদ শেখ, ইস্কান্দার শেখ, জমির শেখ, জিয়ারুল শেখ ও আব্বাস শেখ।