আইন ও অপরাধ

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরো জোরদার হবে: রাষ্ট্রপতি

আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও করোনা মহামারি মোকাবিলায় অব্যাহত সাহায্য-সহায়তার জন্য চীনের প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

রোববার (৪ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এতে তিনি চীনা সরকার ও জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন ও উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

চীনের প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

করোনা মহামারিতে চীনের সহায়তার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উভয় দেশ সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সন্ধানের মাধ্যমে সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। চীনা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং সে দেশের জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট শি’র বাংলাদেশ সফর এবং ২০১৯ সালে তার চীন সফরের স্মৃতিচারণ করেন।

এদিকে, ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অভিনন্দন বার্তা বিনিময় করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। বাংলাদেশ ও চীনের কৌশলগত সম্পর্ককে আরো সুসংহত করতে চীন প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি।

বার্তায় প্রেসিডেন্ট শি বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সেটি চিরকাল নতুন রয়ে গেছে। ৪৫ বছর আগে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে উভয় দেশ সর্বদাই একে অপরকে সম্মান করে আসছে। একে অপরকে সমান হিসেবে বিবেচনা করে রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাসকে বাড়িয়ে তুলেছে এবং পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা জোরদার করেছে। এটি দুই দেশের জন্যই সুস্পষ্ট সুবিধা বয়ে আনে।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে চীন ও বাংলাদেশ যেকোনো পরিস্থিতিতে একে অপরকে সাহায্য করেছে। বন্ধুত্বের এক নতুন অধ্যায় লেখার পাশাপাশি এই মহামারির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করেছে দুই দেশ।