নকল ‘এন৯৫’ মাস্ক সরবরাহ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
এরআগে পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নূরুল হুদা আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী তার জামিন আবেদন করেন। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর আদালত আব্দুর রাজ্জাকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিন দুপুরে দুদকের একটি টিম রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
ওইদিনই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মো. নূরুল হুদা কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ৬ কর্মকর্তা ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে নূরুল হুদা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় সিএমএসডি’র যে ৬ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- উপপরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিক্যাল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ এবং সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথবা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তার-নার্স এবং অন্যান্যদের সুরক্ষায় এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য জেএমআই গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেএমআই গ্রুপ এন-৯৫ মাস্কের নামে ২০ হাজার ৬১০টি মাস্ক সরবরাহ করে। পরে দেখা যায় যে ওই মাস্কগুলো প্রকৃতপক্ষে এন-৯৫ মাস্ক নয়। সেগুলো ১০টি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়।
গত ১০ জুন থেকে দুদক কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।