আইন ও অপরাধ

‘ক্যান্টিন বয়কে দিয়ে আবরারের বমি পরিষ্কার করায় সকাল’

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে আসামিরা মারধর করার পর সে বমি করে দেয়। সেই বমি আসামি ইফতি মোশাররফ সকালের কথায় ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করেছিলেন বলে সাক্ষ্যে বলেছেন ক্যান্টিন বয় মো. জাহিদ হোসেন জনি।

বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে এমনটিই জানান জনি। এদিন মামলার রেকর্ডিং অফিসার চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. সোহরাব হোসেনও সাক্ষ্য দেন। আগামী রোববার (১১ অক্টোবর) মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে।

জবানবন্দিতে মো. জাহিদ হোসেন জনি বলেন, তিনি বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ক্যান্টিন বয়। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে ক্যান্টিন বন্ধ হওয়ার পর রাত ১টার দিকে সকাল ভাই আমাকে ২০১১ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে দেখি তার রুমের মেঝে ও বালিশে বমি। সকাল ভাই আমাকে তা পরিষ্কার করতে বলে এবং সকালে ক্যান্টিনে গিয়ে আমাকে টাকা দেবে বলে জানায়। সে অনুযায়ী আমি বমি পরিষ্কার করি। এরপর রাত সাড়ে তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচে একজনের লাশ দেখি। পরে জানতে পারি ওই লাশটি বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ছাত্র আবরারের। 

আসামি সকাল বুয়েটের বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ ব্যাচের ছাত্র এবং বুয়েট ছাত্র লীগের উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

এনিয়ে মামলাটিতে নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহসহ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।