আইন ও অপরাধ

এমসি কলেজে গণধর্ষণ: তদন্ত প্রতিবেদনের শুনানি ১ নভেম্বর

সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় যৌথ অনুসন্ধান কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন।

এর আগে সোমবার (১৯ অক্টোবর) সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় যৌথ অনুসন্ধান কমিটির ১৬৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন হাইকোর্টে আসে। আজ এ প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় অনুসন্ধানে যৌথ কমিটি গঠন করেন হাইকোর্ট। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারকে এ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি অনুসন্ধানকালে কমিটির সদস্যদের নিরাপত্তা ও তাদের সহযোগিতা করতে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ব্যবস্থা চেয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন। পরে আদালত এ বিষয়ে আইনজীবীকে আবেদন দাখিল করতে বলেন। পরে আইনজীবী গৃহবধূর ধর্ষণের ঘটনায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে আদালতে আবেদন জানান এবং এর শুনানি করেন।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজ এলাকায় বেড়াতে আসেন এক গৃহবধূ। এসময় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ছাত্র ওই তরুণীকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী সেদিন (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলো− এম সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। এরই মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।