আইন ও অপরাধ

জামিনের আশ্বাসে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ বেঞ্চ সহকারীর বিরুদ্ধে

মাদক মামলায় জামিন করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সাত লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকার নিম্ন আদালতের এক বেঞ্চ সহকারীর বিরুদ্ধে। তার নাম মো. জালাল। তিনি ঢাকার ৫ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে কর্মরত আছেন।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) এ বিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান (হাসান) বরারব অভিযোগ করেছেন হামিদা খানম নামে এক ভুক্তভোগী নারী।

হামিদা বেগম অভিযোগ করেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রামপুরা থানার একটি মাদক মামলায় তার ছেলে বিপ্লব হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছেলের জামিনের জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেন। কিন্তু পরে জালাল দ্রুত জামিনের আশ্বাস দেয় এবং তার কাছে ৭ লাখ টাকা দাবি করেন। ২০ ফেব্রুয়ারি তাকে নগদ সাত লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বিপ্লবকে জামিন করাতে পারেননি। একপর্যায়ে টাকা ফেরত চাইলে জালাল তাকে তিন লাখ টাকার একটি এবং দুই লাখ টাকার একটি চেক দেন।  বাকি দুই লাখ টাকা নগদে ফেরত দেবেন বলে জানান। তবে হামিদা বেগম চেকের মাধ্যমে দেওয়া টাকা তুলতে পারেননি বলে জানান।

হামিদা বেগম জানান, ৯ মাস ধরে তার পেছনে ঘুরছি। কি ভোগান্তিতে যে আছি। আমি আমার টাকা ফেরত চাই।

এ অবস্থায় ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রার্থনা জানান হামিদা বেগম।

হামিদা বেগমের আইনজীবী মো. আক্তার হোসেন বলেন, সব বাবা-মা চাই সন্তান জেলে থাকলে দ্রুত জামিন হোক। আর পেশকার জালাল সেই সুযোগটা নিয়েছেন। ২ হাজার ৩৭০ পিচ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় মাত্র তিন মাসের মধ্যে জামিন করানোর আশ্বাস দেন। এজন্য সাত লাখ টাকাও নেন। কিন্তু জামিনতো করাতেই পারেননি, উল্টো সাত লাখ টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য জালালকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।