আইন ও অপরাধ

সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের বিচার শুরু

কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জগঠন করেছেন আদালত। এ চার্জগঠনের মধ্য দিয়ে আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ২২ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

বজলুর রশীদে পক্ষে তার আইনজীবী এস ককে আবু সাঈদ অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। পাশাপাশি জামিনের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রার্থনা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনান। এরপর তার কাছে জানতে চান, তিনি দোষী না নির্দোষ। এ সময় আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২৯ অক্টোবর জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেন আদালত।

গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ আসামির উপস্থিতিতে এ চার্জশিট গ্রহণ করেন।

এরআগে গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক নাসির উদ্দীন এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধিশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন)  ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। ইতোমধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্যবাবদ তিন কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এমনকী তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়।

২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য রূপায়ন হাউজিং স্টেটের সঙ্গে তিনি চুক্তি করেছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের ৭ জুন পর্যন্ত ৫৪ হাজার টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে চেকে পরিশোধ করেন। আর বাকি ৩ কোটি ৭ লাখ ৪৬ হাজার নগদে পরিশোধ করেন। তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন। ডিআইজি হিসেবে এর আগে সর্বশেষ রাজশাহীতে ছিলেন।