আইন ও অপরাধ

এরফানকে ৭ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

রাজধানীর কলাবাগানে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ রিমান্ড আবেদন করেন।

সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আশরাফ জানান, ধানমন্ডি থানা পুলিশ এরফান সেলিম ও জাহিদকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে। বুধবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 

রিমান্ড শুনানি হবে কি না জানতে চাইলে বলেন, আদালত চাইলে হবে।

জানা যায়, রোববার (২৫ অক্টোবর) নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা দেয়। ঘটনার পর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় সোমবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় সোমবার হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানের এক দিন এবং মঙ্গলবার এরফানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবি সিদ্দিকী দিপুর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।