আইন ও অপরাধ

‘একটু কন, কী রায় হলো?’

‘শোনেন, একটু দাঁড়ান আপনারা। একটু কন, কী রায় হলো? ফাঁসির অর্ডার হয়েছে?’ রোববার (১ নভেম্বর) এভাবে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের কাছে স্বামী ও দেবরের সাজার বিষয়ে জানতে চান পায়েল হত‌্যা মামলার আসামি হানিফ পরিবহনের বাসচালক জামালের স্ত্রী সাথী।

রোববার দুপুরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় হানিফ পরিবহনের বাসচালক জামাল হোসেন, তার সহকারী ফয়সাল হোসেন ও সুপারভাইজার জনির মৃত‌্যুদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।

আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে আদালতে এসেছিলেন সাথী। রায় ঘোষণার আগে আদালতের বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় তাকে। রায় ঘোষণা শেষে তার স্বামী ও দেবরকে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। তখন পুলিশের সদস‌্যদের কাছে রায়ের বিষয়ে জানতে চান সাথী।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে সাথী বলেন, ‘গাড়ির যাত্রীরা ড্রাইভার, হেলপার, সুপারভাইজারের শত্রু। আমার এই অনুরোধটা রাখেন, আপনারা এর সত্যটা বের করে দেন। আমার টাকা নাই। আমার স্বামী-দেবরের জীবন ভিক্ষা চাই। আড়াই বছরের বাচ্চাকে নিয়ে রাস্তায় থাকতে হবে। ওকে নিয়ে আমি কই থাকব? আমার কোনো রাস্তা নাই।’

তিনি বলেন, ‘ফয়সাল ওর ভাই জামালের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল। এই ঘটনা মিথ্যা না সত্য, যাচাই করেন। একজন ড্রাইভার কোনোদিন একজন যাত্রীকে মারতে চায়?’