হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে রাজধানীর চকবাজার থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চার মামলায় সাত দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৮ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২ নভেম্বর) আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোসহ রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন আসামিরা অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকায় এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে অস্ত্র মামলায় এবং আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান চৌধুরীর আদালতে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৯ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন দুই আসামিকে চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ রিমান্ড আবেদন করেন।
গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। এরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন। এরপর বুধবার র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় দুইদিনের রিমান্ডে রয়েছে আসামিরা।