আইন ও অপরাধ

অটোরিকশা চালক খুন: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

অটোরিকশা চালক মিন্টু হত্যা মামলার আসামি মো. আলী হায়দার ওরফে নাহিদ হাসান ওরফে নাহিদকে সাভারের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও জুতা উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। 

তিনি বলেন, ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন শেখ মিন্টু (৩৫)। চলতি বছরের ১৩ জুলাই রাতে অটোরিকশা নিয়ে ফিরছিলেন মিন্টু।  ১৭০ টাকা ভাড়ায় উঠেন তিন যাত্রী।  কিছুদূর যেতেই চালক মিন্টুর সন্দেহ হয়।  ভাড়া চেয়ে বসলে আশুলিয়ার রশিদ মেম্বারের বাড়ির মোড়ে যাত্রীবেশে উঠা ছিনতাইকারী চালক মিন্টুর গতিরোধ করে ও মারধর শুরু করেন।  এক পর্যায় চক্রের একজন একটি চাকু দিয়ে মিন্টুর গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন (১৪ জুলাই) ঢাকার আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর ১৪) হয়। পরে তদন্ত শুরু করে পিবিআই।

তিনি আরও বলেন, হত্যার ঘটনায় চক্রের প্রধান আসামিকে ১৯ নভেম্বর রাতে আমরা গ্রেপ্তার করি।  হত্যাকারীরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য।  তারা দীর্ঘ ৪/৫ বছর ধরে আশুলিয়া, সাভার এলাকায় ছিলতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। 

এসপি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, ছিনতাইকৃত এসব ব্যাটারির সেট বিভিন্ন জেলায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করতো। এছাড়াও এই চক্রটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ভোরে ও রাতের সময় বাস থেকে নামা যাত্রীদের ধরে ছিনতাই করে সর্বস্ব লুটে নিতো। 

তিনি বলেন, ছিনতাই চক্রের দলনেতা গ্রেপ্তার নাহিদ।  তার এই চক্রে বেশ অন্তত ২০/২৫ জন সদস্য রয়েছে।  এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নাহিদের সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। তাদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।