মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা খাতুন ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় শুক্রবার (২০ নভেম্বর) তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফারুক মোল্লা আসামি ফাতেমা খাতুনের ৪ দিনের ও ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ২ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সোহেল জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
এরআগে, গত ১৫ নভেম্বর ফাতেমা খাতুনের ৪ দিন ও গত ১৭ নভেম্বর ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলায় ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, মাইন্ড এইড হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, ওয়ার্ড বয় সজীব চৌধুরী, তানিফ মোল্লা, অসীম চন্দ্র পাল ও কিচেন সেফ মাসুদ খান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, লিটন আহাম্মদ ও সাইফুল ইসলাম পলাশকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ১০ নভেম্বর এই ১০ জনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মাইন্ড এইডের আরেক পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাখাওয়াত হোসেন ও সাজ্জাদ আমিন এখনো পলাতক।
উল্লেখ্য, আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মৃত্যুর আগে আনিসুল করিম বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।