আইন ও অপরাধ

বায়ু দূষণরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: হাইকোর্ট 

ঢাকার বায়ু দূষণরোধে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের তা জানাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে বায়ু দূষণ যেন না বাড়ে সে বিষয়েও পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম।

গত বছরের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিউম্যান রাইটস অ‌্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

সে রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণ বন্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুল জারির পাশাপাশি বায়ু দূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অন্তবর্তীকালীন আদেশও দেন। ১৫ দিনের মধ্যে রাজধানীর যেসব এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে যেসব এলাকা ঘেরাও করে পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে উক্ত আদেশ পালন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। যার ধারাবাহিকতা মামলাটি পুনরায় শুনানিকালে আদালত ঢাকার বায়ু দূষণরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে আদেশ দেন।