আইন ও অপরাধ

নৌ কর্মকর্তাকে মারধরে ইরফান সেলিমের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে

রাজধানীতে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সংসদ সদস‌্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ইরফানের এক দেহরক্ষী এখনও পলাতক আছেন। 

শনিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে গোয়েন্দা পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘তদন্ত প্রায় শেষের দিকে। আগামী মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ হবে বলে আশা করছি।’

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিসি ক‌্যামেরার ফুটেজ দেখে ইরফান সেলিম, তার প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক, দেহরক্ষী জাহিদ মোল্লা ও গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাহিদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মারধরের সময় ইরফানের গাড়িতে পাঁচজন ছিলেন। ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর কলাবাগানে ইরফানকে বহনকারী গাড়ি নৌ কর্মকর্তা ওয়াসিফের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেন। ওয়াসিফ নিজের পরিচয় দিলে গাড়ি থেকে নেমে তিনজন তাকে গালমন্দ করেন। তাদের গাড়িটি কলাবাগান সিগন্যালে আসলে জানালায় নক করেন ওয়াসিফ। এর পরেই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ওয়াসিফ। পরে আরেক গাড়িতে চড়ে সেখান থেকে চলে যান ইরফানসহ চারজন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, সিসি ক‌্যামেরার ফুটেজ মামলার তদন্তে অনেক সাহায‌্য করেছে। এতে মারধরের কারণ এবং জড়িতদের সম্পর্কে জানা গেছে।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে রাজধানীর চকবাজারে ইরফান সেলিমের বাসা ঘিরে ফেলে র‌্যাব। বাসার ভেতর থেকে ইরফানকে অস্ত্র, মাদক এবং অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার অভিযোগে আটক করা হয়। ইরফান ও তার সহযোগীরা এখন কারাগারে আছেন।