আইন ও অপরাধ

রাজউকের বর্তমান ও সাবেক সিবিএ নেতাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদ ও প্লট জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে রাজউকের সিবিএ নেতা আবদুল জলিল ও সাবেক নেতা মো. ওবায়দুল্লাহ হককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটির উপ-পরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি দল।

পরে আবদুল জলিল সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোল্ডেন মনির ২০০০ সালের পরেই মূলত রাজউকে প্রভাব বিস্তার করে। আমি গত চার বছর রাজশাহীতে ছিলাম। এ সময়ে আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়নি, কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

ওবায়দুল্লাহ হক বলেন, ‘আমি তাকে চিনিই না। আমার সাথে তার কখনও দেখা হয়নি। একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে গোল্ডন মনিরের সাথে সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরছে।’

একই অভিযোগে আজ রাজউকের উচ্চমান সহকারী ও রাজউক শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মালেককে তলব করেছে দুদক।

এছাড়া, আগামী ৯ ডিসেম্বর রাজউকের পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ওরফে সোনা শফিক ও ডিএনসিসির সাবেক কমিশনার বিএনপি নেতা এমএ কাউয়ুমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা আছে।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে গোল্ডেন মনিরের ৬১০ কোটি টাকার ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। ইতোমধ্যে তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে দুদক। এছাড়া, গত ৩ ডিসেম্বর ৩ কোটি ১০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক।

গত ২০ নভেম্বর মধ্যরাতে মেরুল বাড্ডায় মনিরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।