আইন ও অপরাধ

জাফরুল্লাহসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তাগিদের আবেদন নাকচ

নাসরিন আক্তার নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন তাগিদের আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে আবেদনটি নামঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি প্রতিবেদন তাগিদের আবেদন করেছিলেন মামলার বাদী নাসরিন আক্তারের স্বামী এস এ আলম সবুজ। ওই দিন আদালত শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করে দেন।

এদিকে, আজ এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য একই আদালত আগামী ১ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন।

গত ২২ ডিসেম্বর নাসরিন আক্তারের স্বামী এস এ আলম সবুজ মামলা দায়ের করেন। আদালত পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অন‌্য আসামিরা হলেন—গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. দেলোয়ার হোসেন এবং সেবিকা শংকরী রানী সরকার।

মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, এস এ আলম সবুজের স্ত্রী নাসরিন আক্তার গত ২৪ সেপ্টেম্বর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের ধারণা ছিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু তারা সেবা পাননি। নাসরিন আক্তারের প্রসব বেদনাকালীন তার স্বামী সবুজ বারবার শংকরী রাণীকে জানালেও তিনি গুরুত্ব দেননি। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সবুজ চিকিৎসককে ডাকতে শংকরী রাণীকে অনুরোধ করেন। তখন শংকরী রাণী ইন্টার্ন চিকিৎসক শুভ ও নুপুরকে ডেকে আনেন। তারা দুজন এসে জানান, সবকিছু ঠিক আছে। এরপর শংকরী রাণী জানান, ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে।  কিন্তু কোনো চিকিৎসক আসেননি। ভিকটিম স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগের অনুরোধ করলেও তা করা হয়নি। শংকরী রাণী স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই জোর করে বাচ্চা প্রসব করান। একপর্যায়ে ভিকটিম একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।

রোগীর মৃত্যুর পেছনে অবহেলা আছে বলে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে বাদীপক্ষকে পাত্তা দেয়নি। আসামিরা বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে না, পারলে মামলা করেন। 

গত ১৭ ডিসেম্বর বাদী ধানমন্ডি থানায় যান মামলা করতে। থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলার পরামর্শ দেয়। বাদী মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।