আইন ও অপরাধ

রেইনট্রিতে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ: ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২ জনের সাক্ষ্য

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটসহ দু’জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে ঢাকা সিএমএম আদালতের ওই সময়ের ম্যাজিস্ট্রেট মো. খুরশীদ আলম এবং গুলশান-১ এর মদিনা ফার্মেসির সেলসম্যান মিঠুন চন্দ্র দাস সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালত আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এ নিয়ে মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।

আসামিরা হলেন, আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু  সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসন। ৫ আসামিই জামিনে আছেন। এদিন তারা আদালতে হাজিরা দেন।

২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

এর আগে ওই বছরের গত ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করেন।

চার্জশিটে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।