রাজধানীর গুলশানের ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ থেকে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই কিশোর সিনেমা, সিরিয়াল ও ইউটিউব দেখে চাঁদাবাজির কৌশল শিখেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে মিন্টু রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) গুলশান বিভাগের একটি দল বুধবার (২৭ জানুয়ারি) মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানা এলাকা থেকে কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।
এ কে এম হাফিজ আক্তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওই কিশোর সন্দেহভাজন আসামি, অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ কারণে তার নাম পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে সে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক পরিচয় দিয়ে আসছিল। এভাবে গুলশানের একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদাও দাবি করে। যার তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। এ কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও জানান, ওই ব্যবসায়ীর গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। গ্রেপ্তার কিশোর ব্যবসায়ীর বাড়ির কেয়ারটেকারের ছেলে। এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হয়ে যাওয়ায় সে একটি কাপড়ের দোকানে ৪ হাজার টাকা মূল্যের বেতনে চাকরি করতো। তবে হিন্দি সিনেমা, ইউটিউব বা বিভিন্ন ইংরেজি ছবি দেখে ধনী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিভাবে চাঁদা আদায়, বোমা বানানোর কৌশল শেখে। এরপর সে ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা আটে। এরই অংশ হিসেবে ঘটনার দুই মাস আগে থেকেই ওই ব্যবসায়ী ও তার পরিবারকে নানা কৌশলে সে ভয়-ভীতি ও হুমকিও দিয়ে আসছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ১১ জানুয়ারি রাত ৪ টার দিকে ওই যুবক নিজেকে প্রথমে ভারতীয় নাগরিক পরিচয় দিয়ে গুলশানের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে শুধু তাকেই নয় তার পরিবারের সদস্যদেরও বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন বিকাল ৪ টার দিকে ওই ব্যবসায়ীর ড্রাইভার গাড়ির কাছে আসলে নিচে বোমাসদৃশ্য একটি বস্তু দেখতে পায়। তৎক্ষণাৎ ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে গোয়েন্দা পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে বোমাটি সাদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধার করে। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় সেটি নকল বোমা। এরপর এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় ওই ব্যবসায়ী মামলা করেন।