আইন ও অপরাধ

সজীব হত্যায় প্রেমিকার দোষ স্বীকার

রাজধানীর গোপীবাগে প্রেমিক সজিব হাসানকে (৩২) নিজ হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ৫ খন্ড করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রেমিকা শাহনাজ বেগম (৫০) দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ  শাহনাজ বেগমকে আদালতে হাজির করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করে।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল উল্লেখ করে পুলিশ জানায়, ' শাহনাজ পঞ্চাশোর্ধ, সজিব তার চেয়ে বয়সে কম হলেও দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলে আসছিল। এ সম্পর্কের মধ্যেই  বিভিন্ন সময় সাংসারিক, পারিবারিক, ব্যক্তিগত নানা কারণে ঝগড়াঝাঁটি হতো। এ কারণেই পরিকল্পিতভাবে শাহনাজ সজীবকে হত্যা করেন।

স্থানীয়রা জানান, গোপীবাগের কে এম দাস লেনের ৬ তলা ভবনের চতুর্থ তলায় ৫/৬ বছর ধরে বাস করে আসছিলেন শাহনাজ ও সজীব। সজীব পেশায় একজন টিকিট কাউন্টার ম্যান ছিলেন। ঘটনার দিন তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহনাজ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথা গলা হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যার পর খন্ডিত করেন। পুলিশ এসে ওই বাসায় গিয়ে দেখে খণ্ডিত লাশের পাশে প্রেমিকা শাহানাজ বসে আছেন।

জানা গেছে, শাহনাজের একটি মেয়ে আছে। সজীব তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অনেকবারই ঝগড়াঝাটি এমনকি মারামারির ঘটনাও ঘটে। হত্যার পেছনে এটিও কারণ হতে পারে।

এর আগে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শাহনাজের আসল স্বামী স্ত্রী হারিয়ে গেছেন মর্মে ওয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সজিবকে হত্যার পরপরই শাহনাজ তার আসল স্বামীকে ফোন করে আসতে বলেন। পরে শাহনাজের স্বামী পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাসায় আসেন।