আইন ও অপরাধ

সাঈদ খোকনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩ মার্চ

রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এ দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামি ৩ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ধার্য করেন।

গত ২৯ ডিসেম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২-এর ব্লক-এ, বি, সি মূল বিল্ডিং-এর মুল নকশা-বহির্ভূত অংশ হিসেবে স্থাপনা তৈরি করে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেন।  ওই ঘোষণার পর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যোগাযোগ করেন। তখন আসামিরা টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন। যাদের নামে দোকান বরাদ্দ আছে, তাদের ভুল বুঝিয়ে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর মূল নকশা-বহির্ভূত এক্সটেনশন ব্লক-এ, বি, সিতে দোকান না নিলে মূল মার্কেটের দোকান মালিকদের দোকানের বরাদ্দ বাতিল করবে। এরপর তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক্সটেনশন ব্লক-এ বি,সি,তে দোকান বরাদ্দ নিতে বাধ্য করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, তৎকালীন মেয়রসহ অন্য আসামিরা অর্থ আত্মসাৎ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেন। মামলার বাদী কোটি কোটি টাকা লেনদেনে বাধা দেওয়ায় আসামিরা তাকে প্রাণহানির চেষ্টা করেন। এছাড়া বরাদ্দের বিষয়টি বন্ধ করার জন্য আসামিরা হুমকি দিতে থাকে। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদীর পরিবারের কথা চিন্তা করে তাদের বিরুদ্ধে জিডি করার সাহস পাননি। আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েও কোনো ডকুমেন্ট দেননি।