আইন ও অপরাধ

মাদক মামলার নথি গায়েব: পেশকারসহ ২ জন রিমান্ডে

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে মাদক মামলার একটি নথি গায়েব হয়েছে। অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার মাধ্যমে নথি গায়েবের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. সামছুদ্দিন জুম্মন এবং তার সহযোগী সেলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এসআই আবু সাঈদ চৌধুরী আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিশেষ দায়রা মামলার নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলাগুলোর মধ্যে বিশেষ দায়রা মামলার (নং-২৫/২০১৩) নথি পাওয়া যায়নি। প্রথমে বিষয়টি ওই ট্রাইব্যুনালের জারিকারক মো. কবির হোসেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা অখন্দ মো. সিকেন্দারকে অবহিত করেন। পরবর্তী সময়ে ওই ট্রাইব্যুনালে বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি গত ১১ ফেব্রুয়ারি পেশকার মো. সামছুদ্দিন ও সেরেস্তা সকারী সেলিমেকে নথি খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। তারা নথি খুঁজে বের করতে না পারায় বিচারক তাদের গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এরপরও আসামিরা নথি না পাওয়ার বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গত সোমবার মামলা করার সিদ্ধান্ত দেন বিচারক। সে অনুযায়ী সোমবার জারিকারক কবির হোসেন রাজধানীর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরই পেশকার মো. সামছুদ্দিন ও সেরেস্তা সকারী সেলিমেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

মামলায় বলা হয়, মামলা নথি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে কর্মরত পেশকার মো. সামসুদ্দিন ও সেরেস্তা সহকারী সেলিমের ওপর ছিল। তারা সরকারি কর্মচারী হয়েও অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন।

এ বিষয়ে ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভুইয়া বলেন, ‘এ ধরনের মামলার নথি হারিয়ে যেতে পারে না। আশা করছি, রিমান্ডে সঠিক তথ্য বের হবে।’