আইন ও অপরাধ

হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা কাসেমী গ্রেপ্তার

হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা কোরবান আলী কাসেমীকে গ্রেপ্তার করেছে গুলশান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বাসাবো থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখারুল ইসলাম কাসেমীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’

গোয়েন্দা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মাওলানা কাসেমীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হবে। এছাড়া, সাম্প্রতিক নাশকতার মামলায় তার সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক তথ্য গোয়েন্দা পুলিশের কাছে এসেছে।

গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে মোদিবিরোধী বিক্ষোভের নামে হেফাজতে ইসলাম বায়তুল মোকাররম মসজিদ, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে তাণ্ডব চালায়, তার সঙ্গে কাসেমীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তথ্য- প্রমাণ গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হতে পারে।

কাসেমীসহ হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের ১০ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাদের মধ্যে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সর্বশেষ রোববার (১৪ এপ্রিল) হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের রহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, নারীঘটিত কেলেঙ্কারিসহ নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।