রংপুরের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহমান ওরফে চান্দু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই জেএমবির ইসাবা গ্রুপের সদস্য চান্দু মিয়া পলাতক ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২৫ মে) রাজধানীর বারিধারায় এটিইউ কার্যালয়ে সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের গণমাধ্যম শাখার প্রধান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২৪ মে) সন্ধ্যার দিকে সাভারের গেন্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চান্দু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে জানা যায়, খাদেম রহমত আলীকে হত্যা করেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। বাড়ির পাশে বাবা-মায়ের কবরে তিনি মাজার করেন। সেখানে প্রতি বৃহস্পতিবার সুরেশ্বরী তরিকার অনুসারীদের নিয়ে জিকির করতেন। জেএমবির সদস্যরা খাদেম রহমত আলীকে ভণ্ড পীর আখ্যায়িত করে শিরককারী হিসেবে হত্যা করে।
মোহাম্মদ আসলাম খান আরও জানান, খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলা তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩০ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। দুই বছরের বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকলেও চান্দু পলাতক ছিল।
চান্দু মিয়াকে রংপুরের কাউনিয়া থানায় সোপর্দ করা হবে।