আইন ও অপরাধ

চাঁদাবাজি মামলায় রিমান্ডে সাবেক এমপি আউয়াল

রাজধানীর পল্লবীর সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালকে চাঁদাবাজির এক মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের ভার্চুয়াল আদালত পল্লবী থানায় দায়ের করা ২০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির এ মামলায় রিমান্ডের আদেশ দেন।  এদিন টিটু নামের আরেক আসামিরও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।  টিটু সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার আরেক আসামি।

২০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোস্তফা কামাল গত মাসে আউয়ালের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।

সাবেক সাংসদ এবং ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালকে পল্লবীর সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৬ মে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

এরপর তাকে চাঁদাবাজির ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার সাব-ইন্সপেক্টর অনয় কুমার। প্রথমে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ড শুনানি হয়।

আউয়ালের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।  উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে পল্লবীতে ৬ বছরের ছেলে মাশরাফির সামনে বাবা সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।  বিকাল সাড়ে চারটায় পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে।  সাহিনুদ্দিন  পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে সিরামিক রোডের বাসিন্দা। এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা আউয়ালসহ ২০ জনের নামে পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেন।

২০ মে ভোরে ভৈরবের একটি মাজার থেকে আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পরদিন আদালত তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ২৬ মে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।