আইন ও অপরাধ

৩ জনকেই অচেতন ও শ্বাসরোধে খুন, বড় মেয়ে আটক

খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে অচেতন ও পরে শ্বাসরোধে কদমতলীর স্বামী, স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে। এ ঘটনায় পরিবারের বড় মেয়ে মেহজাবিনকে আটক করা হয়েছে। 

শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা তিনটি মরদেহ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ৩ জনকে আগে অচেতন করা হয়। এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে খুন করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন: রাজধানীতে মা-বাবা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার, আটক ১ 

কী কারণে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে? এ প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘এখনই আমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। তবে আশা করছি, সহসাই এ ঘটনার কারণ বেরিয়ে আসবে। পাশাপাশি প্রধান সন্দেহভাজন মেহজাবিনকে আমরা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।'

পুলিশ ধারণা করছে শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে মুরাদপুরের দ্বিতীয় তলার বাসায় ৩ জনকে খাবারের সঙ্গে প্রথমে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়। তারা অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাদের হত্যা করা হয়। এর আগে তাদের দঁড়ি দিয়ে হাত-পা বাধা হয়।

আরও পড়ুন: কদমতলীতে ট্রিপল মার্ডার: পারিবারিক কলহকে কারণ বলছেন স্বজনরা 

এদিকে, ঘটনার পরপরই থানা পুলিশের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সিআইডি ক্রাইম সিন তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের অংশ হিসেবে এ ঘটনার আগে ওই বাসায় বাইরে থেকে কেউ এসেছিল কিনা, তাদের ভেতর পারিবারিক কোন ধরনের দ্বন্দ্ব এবং তা কার কার সঙ্গে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।

উল্লেখ‌্য, দুপুরে কদমতলী থানার মুরাদপুর হাইস্কুল গলির বাসা থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলামী (৪০) ও তাদের মেয়ে জান্নাতুলের (২০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।