আইন ও অপরাধ

কলাবাগানে চিকিৎসক খুন: কূল-কিনারা পাচ্ছে না পুলিশ

প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও কলাবাগানে চাঞ্চল্যকর ও নৃশংসভাবে খুনের শিকার চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান ওরফে লিপির ঘটনা। দীর্ঘ এই সময় তার কাছে স্বজন, ভাড়াটিয়া এবং প্রযুক্তির সহযোগিতা নেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত খুনের কূল-কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তবে সবধরনের ক্লু বিবেচনায় রেখে মামলার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র দাস।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ওসি রাইজিংবিডিকে বলেন, কি কারণে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, এ বিষয়ে একাধিকবার তার স্বজদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  কিন্তু তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে হত্যার সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনা নিশ্চিত হতে আমরা তদন্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করছি।  সেক্ষেত্রে অবশ্যই এ ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং দায়ীদের বের করে নিয়ে আসতে পারবো।

জানা গেছে, নির্মম খুনের শিকার লিপির ব্যবহৃত মোবাইলের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়।  সেখান থেকে প্রতিবেদন এসেছে।  এখন স্কেচ করে ঘটনার আগে বা পরে কি হতে পারে, সম্ভাব্য কারা কলাবাগানের বাসায় আসতে পারে তা ছবি একে খুনিদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।  স্কেচ করতে ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথাও বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। 

উল্লেখ্য, ঘটনার পর নিহতের স্বজনেরা সন্দেহ করেন, সাবিরার সাবলেটে থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও মডেল কানিজ সুবর্ণার ফ্ল্যাটে অনেকেই যাতায়াত করতেন। তিনি মডেলিংয়ের পাশাপাশি বেসরকারি কোম্পানি দারাজের অনলাইনের ব্যবসাও করতেন।  এ ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।  তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।  কেননা ঘটনার আগে ওই বাসা থেকে হাঁটতে তিনি বেরিয়ে যান।  পাশাপাশি  বাসায় ফিরে এসে লিপির ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে স্বজনদের খবর দেন সুবর্ণাই।  তবে এ বিষয়ে সুবর্ণার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে ওসি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, সোমবার (৩১ মে) কলাবাগান প্রথম লেনের ৫০/১ বাসার ফ্ল্যাট থেকে ওই চিকিৎসকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।