আইন ও অপরাধ

যে কারণে খুন হন নারায়ণ

চারদিনের মাথায় চাঁদপুরের চাঞ্চল্যকর নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ (৬০) খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।  

পাওনা টাকার জন্য সেলুন দোকান কর্মচারী রাজু চন্দ্র শীল তাকে খুন করে বস্তায় ভরে লাশ ফেলে দেয় বলে সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মালিবাগ সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সিলেট থেকে রাজুকে  গ্রেপ্তার করা হয়। 

গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগ মার্কেটের পৌর পানির পাম্পের স্টাফ রুমের পাশে নারায়ণচন্দ্রের বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া যায়।  নারায়ণ চন্দ্র চাঁদপুরের বিভিন্ন দোকানে দীর্ঘদিন ধরে দই-মিষ্টি বিক্রি করে আসছিলেন।  ঘটনার দিন রাতে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তিনি রাজু চন্দ্রের কাছে যান। তদন্তের এক পর্যায়ে বিপনীবাগ বাজারের নৈশপ্রহরী ইসমাইল বকাউলের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়।

বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর বাজারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী রাজু চন্দ্রকে রাত ১ টায় সাটার খুলে পানি দিয়ে দোকান পরিষ্কার করতে দেখা যায়।  জিজ্ঞাসা করলে রাজু বলে ধর্মীয় উৎসব থাকার কারণে দোকান পরিষ্কার করে পুরনো জামা-কাপড়সহ অন্যান্য ময়লা জিনিসপত্র বস্তায় করে নিয়ে যাচ্ছে।

মুক্তাধর বলেন, বস্তাটি মার্কেটের পশ্চিম পাশে শরীফ স্টিল ও পানির পাম্পের স্টাফ রুমের পূর্বপাশের গলির ভেতর ফেলে রেখে পুনরায় দোকানে ফিরে আসে। এরপর রাজু পানি দিয়ে সেলুন দোকান পরিষ্কার করতে থাকে।  সেলুন থেকে মরদেহের  রক্তের দাগ দেখা যায়।  পরবর্তী সময়ে সেলুনের মালিক শ্রীকৃষ্ণকে ডেকে আনলে সে দোকান খুলে সেলুনের মেঝেতে রক্ত মাখা পানি দেখতে পান। এছাড়াও সেলুনের দেয়ালে, চেয়ারের কভারে, মেঝেতে, বালতির মধ্যে রক্তের দাগ দেখা যায়।  ঘটনার পর থেকে  রাজু  পলাতক ছিল।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুক্তাধর বলেন, ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে তা সিআইডির নজরে আসে। শুরু হয় ছায়া তদন্ত এরপরই রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।  তাকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।