আইন ও অপরাধ

খিলক্ষেতে কলেজছাত্র খুনের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

১১ বছর আগে রাজধানীর খিলক্ষেতে প্রেমের জেরে উত্তরা কলেজ টাউনের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম ওরফে কাজল হত্যা মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফাতেমা ইমরোজ ক্ষণিকার আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—এসএম হিরন খান, আমির হোসেন ও জাকির হোসেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থ অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে তাদের। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

মামলার বাদী ভিকটিমের বাবা মো. হানিফ ওরফে বাবুল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম, আসামিদের ফাঁসি হবে। কিন্তু আদালত তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। বিচার পেয়েছি। এতেই আমরা খুশি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘প্রেমের জেরে ২০১০ সালের ২৯ মে কাজলকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরের দিন খিলক্ষেত থানা পুলিশ ফোন দিয়ে তার পরিবারকে জানায়, কাজল অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীন কাজল জানায়, হিরন খান, জাকির, আমির ও সিরাজ ছুরিকাঘাত করে তাকে রাস্তায় ফেলে দেয়। ২৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২১ জুন মারা যান কাজল।

কাজল চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার বাবা হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। তিনি মারা যাওয়া পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

মামলা তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৬ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।