আইন ও অপরাধ

রাজারবাগ পীরের তথ্য চেয়ে ৫৬ ব্যাংক ও ৬৪ জেলায় দুদকের চিঠি

রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর দিল্লুর রহমানের সম্পদের তথ্য চেয়ে ৫৬টি ব্যাংক এবং ৬৪ জেলায় সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে দরবার পরিদর্শন করেছে অনুসন্ধানী টিম। প্রয়োজন হলে তাকে দুদক কার্যালয়ে ডাকা হবে বলেও জানিয়েছেন দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। 

বুধবার (১ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

দুদক সচিব জানান, দুদক অনুসন্ধানী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একজন সহকারী পরিচালক এবং একজন উপ-সহকারী পরিচালক আদালতের নির্দেশনার অংশ হিসেবে অনুসন্ধানী কার্যক্রম শুরু করেছে। এর ভিত্তিতে তারা ৬৪ জেলার রেজিস্টার এবং তফসিলভুক্ত যে ৫৬টি ব্যাংক; পরিবেশ অধিদপ্তর, বনশিল্প অধিদপ্তর রয়েছে- এসব জায়গায় চিঠি দেয়া হয়েছে। যাতে তার (রাজারবাগ পীর) নামে কোথায় কোথায় জমি দখল হয়েছে, অবৈধ সম্পদ রয়েছে বা অন্য নামে আছে; সেই তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

তিনি জানান, আমরা আশা করছি হাইকোর্টের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারবো। যদি না পারা যায় তাহলে আরও সময় চেয়ে নেয়া হবে। তবে আমাদের কার্যক্রম চলছে।

জানা গেছে, অনুসন্ধানে দুদক টিমকে রাজারবাগ দরবার শরিফ পরিদর্শনে গেলে পীর দিল্লুর রহমান তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। এই প্রসঙ্গে দুদক সচিব বলেন, দুদককে সহযোগিতা না করার সুযোগ নেই। এজন্য আইন রয়েছে। আইনের ভিত্তিতেই দুদক টিম কাজ করছে। যদি অসহযোগিতা করেন, তাহলে এর জন্য যে দায় রয়েছে, তা তাকে নিতে হবে।

জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে পীরকে ডাকা হবে কিনা- এই প্রশ্নে সচিব বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে অনুসন্ধানী টিম তাকে ডাকবেন। অথবা তার কার্যালয়েও হতে পারে। এটি টিমের সদস্যরা যেখানে করলে ভালো মনে করবেন, তারা সেখানে করতে পারেন।

এর আগে ১৬ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে ৩ সদস্যের টিম গঠন করে ধর্মের নামে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে সাত হাজার একর জমি দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজারবাগ পীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশও দিয়েছিলেন আদালত।

অনুসন্ধানী কর্মকর্তার হলেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, উপ-সহকারী পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন।