আইন ও অপরাধ

পারভীন হত্যা: গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রীর দোষ স্বীকার

রাজধানীতে গৃহকর্মী পারভীন ওরফে ফেন্সি আরা (৩০) হত্যার মামলায় গৃহকর্তা সৈয়দ জসীমুল হক এবং গৃহকর্ত্রী সৈয়দ সামিনা হাসান আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম তুরাগ থানায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন। আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম সৈয়দ জসীমুল হকের এবং আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী সামিনা হাসানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতে তুরাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা লিয়াকত আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিবিআই’র ঢাকা মেট্রো উত্তরের কার্যালয়ে বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, পারভীন গুলশানের নিকেতনে একটি বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। গৃহকর্তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক আছে, এমন সন্দেহে তাকে হত্যা করেন গৃহকর্ত্রী। পরে তার লাশ গুম করতে তুরাগের ঝাউবন এলাকায় ফেলা হয়।

এ ঘটনায় নিকেতন থেকে শনিবার গৃহকর্তা সৈয়দ জসীমুল হক (৬৩) ও গৃহকর্ত্রী সৈয়দা সামিনা হাসানকে (৬০) গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

ছয় বছর আগে জীবিকার সন্ধানে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন পারভীন। স্বামী রিকশা চালান এবং পারভীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। জসীমুল হকের বাসায় পারভীনকে মাসে ৭ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেওয়া হতো মাত্র ১ হাজার টাকা করে।

পারভীন হত্যার ঘটনায় তার স্বামী মোমিনুল ইসলাম তুরাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।