আইন ও অপরাধ

আবরার হত‌্যা: রায় শুনে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল আসামিদের

২৬ মাস আগে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শিবিরের তকমা লাগিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

এরআগে রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিনে সকাল সোয়া ৯টার দিকে  ২২ আসামিকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

রায় শুনতে আদালতে আসেন আবরারের বাবাসহ অন্যান্য আত্মীয়রা। আসামিদের স্বজনরাও আদালতে আসেন।

দুপুর ১২টায় রায় ঘোষণার জন্য সময় ধার্য ছিল। রায় ঘোষণার আগে ১১টা ৪০ মিনিটে আসামিদের এজলাসে তোলা হয়। ১১টা ৫৮ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন। এরপর রায় পড়া শুরু হয়। ১২টা ১০ মিনিটে আদালত আসামিদের দণ্ডের আদেশ ঘোষণা করেন।

এসময় কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামিরা নীরব ছিল। কোনো ধরনের সাড়াশব্দ করেনি তারা। কিছুক্ষণ পর সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন আসামির চোখ জলে ভিজে গেছে। পরে তাদের আবার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। 

সোয়া একটার দিকে তাদের প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। এসময় আসামিদের মধ্যে কয়েকজন কাঁদতে থাকেন। কেউ আবার স্বজনদের শান্তনা দেন। স্বজনরাও আসামিদের ভেঙে না পড়ার পরামর্শ দেন। 

আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান মিজান সবচেয়ে বেশি কান্নাকাটি ও চিৎকার করছিলেন। তিনি দাবি করেন, ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত না। তারপরও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো। 

মোর্শেদ আমত্যর বাবা রবিউল ইসলাম ছেলেকে শান্তনা দিয়ে বলেন, ‘সবই মিথ্যা। তুমি রাজশাহী ছিলে। তুমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাকে দেখবেন।’ প্রিজন ভ্যান আদালতপাড়া ছেড়ে যাওয়ার সময় মোর্শেদ ফুফু-ফুপাকে বলেন, ‘আব্বাকে দেইখেন।’ এভাবে কয়েক মিনিট চলে। এরপর প্রিজন ভ্যানটি আদালতপাড়া ছেড়ে কারাগারে চলে যায়।