আইন ও অপরাধ

মেডিক্যালে না পড়েই তিনি এমবিবিএস ডাক্তার 

মহিউদ্দিন মাসুদ (৩৮)।  নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার বলে দাবি করেন। এই পরিচয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে বাস্তবে তিনি মেডিক্যালেই পড়েননি। প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) র‌্যাব-৩ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে র‌্যাব-৩  রাজধানীর সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দেওয়া মাসুদকে গ্রেপ্তার করে।  এ সময় তার চেম্বার হতে ১টি নেমপ্লেট, ৫০০টি ভিজিটিং কার্ড, ২৫টি বিভিন্ন ধরনের সিল, ২০০টি প্রেসক্রিপশন, ২টি মোবাইল ফোন, ১টি গোপন কলম ক্যামেরা এবং নগদ ৪৮৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

মহিউদ্দিন মাসুদের চেম্বার থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র। ছবি: র‌্যাব

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার মাসুদ স্বীকার করেছে, তিনি বরিশালের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন।  তবে তিনি এমবিবিএস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিতেন। কিন্তু তার কোনো ডাক্তারি সনদপত্র নেই। সে প্রতারণার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে  জনসাধারণের মাঝে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।

র‌্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, র‌্যাব-৩ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে, ঢাকা মহানগরীর সবুজবাগ থানার মধ্য বাসাবো এলাকায় সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে মাসুদ নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ভুয়া এমবিবিএস (ডিইউ) পিজিটি (মেডিসিন ও শিশু) মেডিসিন ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ, চর্ম, যৌন, নাক, কান ও গলা রোগে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিতেন।  বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির সাথে চুক্তি করে রোগ শনাক্তকরণের নাম করে রোগীদের অযথা বিভিন্ন পরীক্ষার নির্দেশনা দিতেন। এছাড়াও তিনি ক্যামেরা যুক্ত ১টি কলম ব্যবহার করতেন, যার বাজার মূল্য ৪৫০০০ টাকা।  তার নির্দেশনাপত্র এবং পরীক্ষাগুলোর নাম ক্যামেরা সংযুক্ত কলমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির রেকর্ডে চলে যেত। এর মাধ্যমে তিনি কোম্পানিগুলো থেকে বড় অংকের অবৈধ অর্থ পেতেন। 

আরও পড়ুন: হোটেল বয় থেকে জাল টাকা তৈরির হোতা