আইন ও অপরাধ

জাকিয়া হত্যা মামলার রায় ২৭ জানুয়ারি

গোপালগঞ্জে জাকিয়া বেগম নামের এক গৃহবধূকে হত্যার মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ২৭ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ নির্ধারণ করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইঞা রায় এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন—জাকিয়ার স্বামী মোর্শেদায়ান নিশান, নিশানের ভাই এহসান সুশান, তাদের ভগ্নিপতি হাসান শেখ এবং আনিছুর রহমান।

মোর্শেদায়ান নিশান মাছরাঙা টেলিভিশনের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক আমাদের গোপালগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি পলাতক আছেন। অপর তিন আসামি জামিনে ছিলেন। আদালত জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

জাকিয়া আক্তারকে খুনের ঘটনায় তার বাবা জালাল উদ্দিন মল্লিক উল্লিখিত চারজনের নামে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালে নিশানের সঙ্গে জাকিয়ার বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলে আছে। বিয়ের পর থেকেই নিশান ও তার পরিবারের সদস্যরা ১ কোটি টাকা যৌতুকের দাবিতে জাকিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করত। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। সন্তানের কথা চিন্তা করে নির্যাতন সহ্য করত জাকিয়া। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামিরা জাকিয়ার কাছে মোর্শেদায়ান নিশানের নামে ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার জন্য ১ কোটি টাকা চায়। জাকিয়া যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাকে জোর করে শোয়ার ঘর থেকে রান্নাঘরে নিয়ে যায়। মোর্শেদায়ান নিশান অন্য আসামিদের প্ররোচনায় জাকিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৯ জুন গোপালগঞ্জ জেলার ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সওগতুল আলম চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর গোপালগঞ্জ জেলা জজ আদালতে চার আসামির বিচার শুরু হয়। মামলায় সাতজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। বিচার দ্রুত করার জন্য মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি আসার পর আরও ১৩ জন সাক্ষ্য দেন। চার্জশিটভুক্ত ২০ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনেরই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

গত ৩০ ডিসেম্বর এ মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু ওই দিন আবার আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ধার্য করেন।