আইন ও অপরাধ

সিয়ামের আঘাতে নাহিদ জখম হয়: র‌্যাব

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সহিংসতায় ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, বুধবার (৪ মে) রাতে শরীয়তপুর ও কক্সবাজার থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাতকারী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সজীব, মেহেদী হাসান বাপ্পি ও কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী নাহিদ হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী মো. মাহমুদুল হাসান সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৮ এপ্রিল নিউমার্কেটে পাশাপাশি দুটি ফাস্ট ফুডের দোকানের কর্মচারীদের মধ্যে ইফতার বিক্রির টেবিল বসানো নিয়ে বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে দোকানের কর্মচারী সজীব ও বাপ্পি ফোন করে কিছু দুষ্কৃতিকারীদের আসতে বলে। দুষ্কৃতিকারীরা স্থানে পৌঁছালে পুনরায় ওই দুই দোকানের কর্মচারীদের মধ্যে মারামারি হয়।

মারামারিকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল কৌশলে গুজব ছড়িয়ে ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করে।

র‌্যাব জানায়, নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্র ও কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য ও কন্টেন্ট ছড়িয়ে ইন্ধন দেওয়ার ফলে উত্তেজনা চরম সহিংসতার রুপ নেয়।  সংঘর্ষে নাহিদ নামের একজন কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী ও মোরসালিন গুরুতর আহত হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

গ্রেপ্তারকৃত বাপ্পি ও সজীব নিউমার্কেটের ওয়েলকাম ফাস্টফুডে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করতেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মাহমুদুল হাসান সিয়াম সংঘর্ষের এক পর্যায়ে নাহিদকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় নাহিদকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদ মৃত্যুবরণ করে। ঘটনার পর সিয়াম গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনায় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর এবং মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াসহ গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ৫টি মামলা করা হয়।