আইন ও অপরাধ

বাবুল আক্তার ইলিয়াসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বনজ কুমারের মামলা

পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ধানমন্ডি থানায় পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি দায়ের করেন।

রাতে পিবিআই সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ রাইজিংবিডিকে বলেন, ইলিয়াস হোসাইন, সাবেক পুলিশ সুপার ও কারাগারে আটক বাবুল আক্তার, বাবুল আক্তারের ভাই মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবুল আক্তারের বাবা মো. আবদুল ওয়াদুদ মিয়াকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তদন্ত পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্তে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ধানমন্ডি থানার ওসি (তদন্ত) রবিউল ইসলামকে। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর ও বাবুলের স্ত্রী হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিওতে বলা হয়েছে, এ মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান। এ ছাড়াও তাকে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়েছে, মিথ্যা সাক্ষীও সাজানো হয় বলে ভিডিওতে প্রকাশ করা হয়। 

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরেট নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার  মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

পিবিআই’র তদন্তে বেরিয়ে আসে, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ অভিযোগে গত বছরের ১২ মে বাবুলের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই এ মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এদিকে, প্রবাসী সাংবাদিকের ভিডিও নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল পিবিআই প্রধান বনজ কুমারের। তবে অনিবার্য কারণবশত তা স্থগিত করা হয়। মামলাটি ইতোমধ্যেই পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পরই তদন্ত সংশ্লিষ্টরা দায়ীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে জানা গেছে।